ভেরিকোস ভেইন

Home » Varicose Vein

ভেরিকোস ভেইন কি?
ভেরিকোস ভেইন এমন একটি রোগ যাতে হাত ও পায়ের শিরাগুলি গিঁট পাকানোর মত হয়ে ফুলে ওঠে । এই ফুলে ওঠা শিরা ত্বকের ঠিক নীচেই দেখা যায়। এই অবস্থায় শিরাগুলি গাঢ় বেগুনী বা নীলাভ রঙের হয়ে ওঠে।
প্রতিটি শিরার মুখে একটি ক্ষুদ্র ভালভ বা কপাটিকা থাকে, যা রক্তের প্রবাহকে উল্টো দিকে ফিরে যেতে বাধা দেয়। এই ভালভগুলি যদি কাজ করতে অক্ষম হয়, তখন ভেরিকোস ভেইন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।

ভেরিকোস ভেইনের লক্ষণ ও উপসর্গ :
১.পায়ের পাতা ও পা ফুলে ওঠা এবং ব্যথা
২.পায়ের নিচের অংশের পেশীতে খিঁচুনি
৩.শিরার আশেপাশের অংশে চুলকানি
৪.আক্রান্ত অংশের চারপাশের ত্বকের রঙ পরিবর্তন

ভেরিকোস ভেইনের কারণ ও ঝুঁকির সম্ভাবনা :
১.পরিবারে কারোর ভেরিকোস ভেইনের পূর্ব ইতিহাস থাকা
২.বয়সের সাথে এই রোগের সম্ভাবনা বাড়ে
৩.স্থূলতা বা ওবেসিটি
৪.দীর্ঘ সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস
৫. ক্ষতিগ্রস্থ ভালভ বা কপাটিকা
৬.পায়ে এবং পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়া

ভেরিকোস ভেইনের চিকিৎসা:
১.সার্জারি বা কেটে অপারেশন
২.রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাব্লেশন(আরএফএ)
৩. এন্ডোভেনাস লেজার অ্যাব্লেশন
৪.মেকানোকেমিক্যাল অ্যাব্লেশন
৫.কম্প্রেশন মোজা
৬. ফোম স্ক্লেরোথেরাপি

অপারেশন না করলে কি হতে পারে?
১. পায়ে ঘা হতে পারে
২. ফোলা শিরা হতে রক্তপাত হতে পারে
৩. পা কালো হয়ে যেতে পারে।

ভেরিকোস ভেইনের ঝুঁকি ও জটিলতা

👉 ভেরিকোস ভেইন এমন একটি রোগ যাতে হাত ও পায়ের শিরাগুলি গিঁট পাকানোর মত হয়ে ফুলে ওঠে । এই ফুলে ওঠা শিরা ত্বকের ঠিক নীচেই দেখা যায়। এই অবস্থায় শিরাগুলি গাঢ় বেগুনী বা নীলাভ রঙের হয়ে ওঠে।
প্রতিটি শিরার মুখে একটি ক্ষুদ্র ভালভ বা কপাটিকা থাকে, যা রক্তের প্রবাহকে উল্টো দিকে ফিরে যেতে বাধা দেয়। এই ভালভগুলি যদি কাজ করতে অক্ষম হয়, তখন ভেরিকোস ভেইন রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।

👉 ভেরিকোস ভেইনের ঝুঁকি ও জটিলতাঃ

⚫ ব্যথা ও অস্বস্তি: ভেরিকোস ভেইন প্রায়ই পায়ে ভারী অনুভূতি, জ্বালা, বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে।
⚫ শোথ (Swelling): আক্রান্ত অংশে (প্রধানত পায়ে) ফুলে যাওয়া বা তরল জমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
👉 চর্মজনিত সমস্যা:
⚫ ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
⚫ চুলকানি হতে পারে (Stasis dermatitis)।
⚫ ত্বকের রঙ গা dark় হয়ে যেতে পারে।
⚫ আলসার (ঘা) তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে গোড়ালির আশেপাশে।
👉 রক্ত জমাট বাঁধা (Thrombophlebitis):
⚫ ভেরিকোস ভেইনে রক্ত ধীরে চলার ফলে কখনো কখনো জমাট বাঁধে, যা শিরার প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
⚫ এটি একধরনের Superficial Thrombophlebitis, যা সাধারণত ত্বকের নিচের শিরায় হয়।

👉 Deep Vein Thrombosis (DVT) – বিরল হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি DVT-তে রূপ নিতে পারে, যা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার (pulmonary embolism) ঝুঁকি তৈরি করে – এটি জীবনঘাতী হতে পারে।

👉 রক্তক্ষরণ (Bleeding): যদি ভেরিকোস ভেইন ত্বকের খুব কাছাকাছি থাকে, এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তীব্র রক্তপাত হতে পারে।

👉 কারা বেশি ঝুঁকিতে?

⚫ নারীরা (বিশেষত গর্ভাবস্থায় বা হরমোন পরিবর্তনের সময়)
⚫ বয়স্ক মানুষ
⚫ যাদের পরিবারে এ রোগের ইতিহাস আছে
⚫ যাঁরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন (শিক্ষক, নার্স, হেয়ারড্রেসার ইত্যাদি)
⚫ অতিরিক্ত ওজনধারীরা
⚫ শারীরিক পরিশ্রমহীন জীবনযাপনকারীরা

✅ করণীয়:

⚫ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এড়ানো
⚫ নিয়মিত ব্যায়াম করা (বিশেষ করে হাঁটা)
⚫ পা উপরে তুলে বিশ্রাম নেওয়া
⚫ কমপ্রেশন স্টকিং ব্যবহার
⚫ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
⚫ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেও

Before and after varicose vein or twisted leg vein surgery

Modern treatment of varicose veins_ RFA (Radiofrequency Ablation)

Varicose vein

Varicose veins or twisted veins of the leg

Scroll to Top